নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘আমি চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আল মামুন বলছি। আপনি কোথায় আছেন? আপনি বললেন যোগাযোগ করবো, যোগাযোগ তো করছেন না। আপনাকে কি প্রশাসন দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে আসবো? হ্যাঁ…, আপনি কোথায় আছেন, দেখা করেন না, টাকা পয়সা দেন না। আপনি আমার সাথে যোগযোগ রাখেন না। এই জেলার মা-বাপ আমি।’ এভাবে বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিদের কাছে মোবাইলফোনে পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করে আসছিলেন রাকিবুল ইসলাম শুভ ওরফে বান্টা (২৫) নামের এক যুবক। এ প্রতারণার অভিযোগে গতকাল সোমবার সকালে সদর উপজেলার কুতুবপুর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পুলিশ। এসময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতার রাকিবুল ইসলাম শুভ ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার পার্বতীপুর (আমেরচারা, ২নং ওয়ার্ড ছবেদ আলীর মোড়) গ্রামের আরিফুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত কয়েকদিন ধরে গ্রেফতার রাকিবুল ইসলাম শুভ ওরফে বান্টা নিজেকে চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর (০১৮৭২-৫২০৪০৫) দিয়ে সদর পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিপুল জোয়ার্দ্দার ও আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব হোসেনের ব্যক্তিগত নম্বর ফোন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। হুমকি-ধামকিসহ টাকা দাবী করে। এ ঘটনায় ওই তিনজন সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। এরপর সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে নামে ডিবি পুলিশের এসআই সাজ্জাদ হোসেন, শিহাব উদ্দিন, সুমন্ত বিশ্বাস, এএসআই রজিবুল হক ও রমেন সরকার। আভিযানিক দলটি তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারক যুবকের অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেফতার করে।
চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রাকিবুল ইসলাম শুভ জানিয়েছে- এর আগেও সে নিজেকে ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার পরিচয় দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, মাদক ও পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে ৮টি মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাতেও নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।