নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি-জামায়াতের নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা রুখে দিতে এবং গণমানুষের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত পনেরো বছরের উন্নয়ন তুলে ধরতে আলমডাঙ্গায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। গতকাল রবিবার দুপুরে আলমডাঙ্গা শহরের টকিজ সিনেমা হলে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাওসার আহম্মেদ বাবলুর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিল্লুর সঞ্চালনায় কর্মীসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘আজকের এই কর্মীসভাটি বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য রুখে দিয়ে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ণ গণমানুষের কাছে পৌছে দিতেই আয়োজন করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে টানা ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ সরকার। সেই থেকে দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার’
দিলীপ কুমার আরও আগরওয়ালা বলেন, ‘আমরা কেউ নৌকার বাইরে না। আমরা বার বার বলে আসছি। নৌকা যার আমরা তার। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন তুলে ধরছি। আগামী নির্বাচনে যাতে জনগন নৌকায় ভোট দেয় এ জন্য সবাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আগামী নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য মোকাবেলার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তারপরও যদি মনে করেন, আমরা বানের জলে ভেসে এসেছি। তাহলে যারা ভাবছেন, তারা ভুল ভাবছেন। কারণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চুয়াডাঙ্গা জেলা কাউকে লীজ দিয়ে দেননি। কাউকে জমিদারি দেয়নি। যে যার ইচ্ছামতো জমিদারি চালাবে, তা হবে না। আমরা জানি, যারা নৌকার বিপক্ষে ভোটে দাঁড়িয়েছিলো, সেসময় যারা নৌকাকে হারানোর পাঁয়তারা করেছে, আজ তারাই বড় বড় কথা বলে। আমি তাদের উদ্দেশ্যে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমি দিলীপ চুয়াডাঙ্গার সন্তান, কোথাও থেকে ভেসে আসিনি। আমি দিলীপ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের জননেত্রী শেখ হাসিনার সৈনিক। তাই উল্টো-পাল্টা কথা বললে আর আওয়ামী লীগকে নিজের জমিদারি মনে করলে, সেই বক্তব্যের রেকর্ডিং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে শোনানো হবে। একইসাথে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করার ইতিহাস তুলে ধরা হবে। আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা শেখ ফজিলাতুন্নেছা আমার মা বই চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার প্রায় সব বিদ্যালয়ের ১০-১৫ হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে বিতরণ করেছি। এই বই বিতরণ নিয়ে কিছু মানুষ কথা বলছে। আমি আশ্চর্য হয়েছি। এরাই নাকি আওয়ামীলীগ করে। এখন বুঝতে পারছি এরা সব ব্যক্তি লীগ করে, তা নাহলে কী অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাকে নিয়ে লেখা বই নিয়ে কথা বলে। আমি তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ জেলার মানুষের কল্যাণে কাজ করছি।’
দিলীপ কুমার আগরওয়ালা আরও বলেন, ‘দেড় টাকার কম্বল আর দু’টাকার ছাতা বিতরণের কথা যারা বলছেন, তাদের বলছি আমি তো কম্বল-ছাতা বিতরণ করে সাধারণ মানুষের পাশে থাকছি। আপনারা তো সেটাও করছেন না। আমি পরিস্কার কথা বলা মানুষ। আমি কাদা ছোঁড়াছুড়ি করতে চাই না। আমি তো চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ইউনিয়নে, গ্রামে গ্রামে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তুলে ধরতে কাজ করছি। তাই আসুন সবাই নৌকার জন্য কাজ করি। একইসাথে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্য রুখে দিয়ে নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করি। আমার এককথা, নৌকা যার আমরা তার। শেখ হাসিনা সরকার বার বার দরকার।তাই আমি আবারও বলি, বিএনপি-জামায়াত চক্রের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আমাদের সবসময় সোচ্চার থাকতে হবে।’
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, কালিদাসপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন পারভেজ, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ায়েচ কুরুনি টিটু, জেলা যুবলীগের সদস্য তপন কুমার বিশ্বাস, বেলগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাস্টার, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন দুদু, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ডা. আসিনুর রহমান, বেলগাছী ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম, মাহবুব, শাহিনুর রহমান শাহিন, চিৎলা ইউনিয়নের রবিউল ইসলাম মন্টু, আব্দুল হাই, ডাউকি ইউনিয়নের আবু মোনায়েম, এমদাদ হক, জেকের আলী, সাঈদ মেম্বার, রাজু, জেহালা ইউনিয়নের জনি মেম্বার, সাবেক মেম্বার হিরালাল, ইলা মেম্বার, খাসকররা ইউনিয়নের এএইচএম মোয়াজ্জেম, সার্জেন্ট (অব.) রুহুল আমীন, বকুল, আবদার, কুমারী ইউনিয়নের সাইকা, কামাল, বাবু, কুতুবপুর ইউনিয়নের মহাসিন আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়নের আশাদুল হক আশা মেম্বার, মকবুল, মোমিনপুর ইউনিয়নের আব্দুস সালাম, রানা আহম্মেদ, মোখতার মুন্সী, নাগদাহ ইউনিয়নের মিশর আলী, মনিরুজ্জামান, পদ্মবিল ইউনিয়নের রজব আলী, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের কামাল হোসেন, আনারুল ইসলাম, গাংনী ইউনিয়নের রোকনুজ্জামান মুন্সি টোকন, আইলহাস ইউনিয়নের শরিফুল ইসলাম চৌধুরী, কমল কুমার বিশ^াস, খাদিমপুর ইউনিয়নের ইমান আলী, সালাম, রাব্বি, মোহন আলী, রাকিবুল ইসলাম, খাইরুল, আব্দুর রশিদ, কালিদাসপুর ইউনিয়নের তালেব হাসান, রাসেল পারভেজ রাজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নওয়াব আলী, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের আফিল উদ্দিন, আয়নাল হক,বারাদি ইউনিয়নের হাসিবুল মেম্বার, নুর হোসেন মেম্বার, আব্দুল মজিদ, হারদী ইউনিয়নের আব্দুল হালিম, আব্দুস সালাম, জামজামী ইউনিয়নের কোরবান আলী, সবুজ সাধুখাঁ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পবিত্র কুমার আগরওয়ালা, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলমগীর কবির শিপলু।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য রুখে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের গত পনেরো বছরের উন্নয়ন তুলে ধরেন।