নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘দিলীপ কুমার আগরওয়ালা হঠাৎ নেতা নন। গত ১০ বছর যাবত চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাংগাসহ এ জেলার সকল মানুষের পাশে আছেন ও তাদের কল্যাণে তিনি কাজ করছেন। এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটিতে টানা তিনবার সদস্য নির্বাচিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সন্মাননা সিআইপির মর্যাদা প্রতি বছরই পান। এবারও পেয়েছেন। এ নিয়ে তিনি টানা আটবারের মতো সিআইপি নির্বাচিত হলেন। এর আগে এমন সম্মাননা চুয়াডাঙ্গা জেলার আর কেউ পাননি। এছাড়া কৃতী ব্যবসায়ী হিসেবে সারাদেশেই শুধু নই, আন্তর্জাতিকভাবেও সমাদৃত হয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার মান-মর্যাদা বৃদ্ধিতে প্রতিনিয়ত ভূমিকা রেখে চলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হিসেবে দিলীপ কুমার আগরওয়ালারা পারিবারিকভাবেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী। দিলীপ কুমার এখন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিজের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে এগিয়ে চলেছেন। তাই দিলীপ কুমারকে হঠাৎ নেতা যারা বলছেন, তারা ঈর্ষান্বিত হয়েই বলছেন।’ গতকাল বুধবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়নব্যাপী স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অংগসংগঠনের নেতাকর্মীরা নৌকা প্রতীকের পক্ষে পথসভা, গণসংযোগ ও সরকারের উন্নয়নের সচিত্র লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
এসময় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘নেতাকর্মীদের ঐক্যই হচ্ছে আওয়ামী লীগের মূল শক্তি। তাই সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধ থাকতে হবে। আগামী নির্বাচনে নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে, দলকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ দলের কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। প্রত্যেক ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে শক্তিশালী আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে হবে। দিলীপ কুমার আগরওয়ালা চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাংগায় আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে কাজ করছেন। তাই আমরা তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে চাইবো।’ জেহালা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক রহিদুল ইসলাম ইলা মেম্বার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য আলমগীর কবির জনি মেম্বারের নেতৃত্বে গণসংযোগ, পথসভা এবং সরকারের উন্নয়নের সচিত্র লিফলেট বিতরণকালে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এবং বক্তব্য রাখেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, কুমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও কুতুবপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, পদ্মবিলা ইউপির সাবেক ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা আ.লীগের সাবেক নির্বাহী সদস্য চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়ায়েচ কুরুনি টিটু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পবিত্র কুমার আগরওয়ালা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম রঞ্জুসহ তুষার, সুমন, রাজু, টিপু, খোকন, লুৎফর, মজিদ মেম্বার, তোতা, বেলগাছী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, বেলগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক ও আলমগীর কবির শিপলু প্রমুখ।