শেখ লিটন:
চুয়াডাঙ্গা শহরের অলিগলি কিংবা প্রধান সড়ক, সবখানেই ঝুলছে বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও ব্যানার। ব্যাক্তি উদ্যোগে তো বটেই পৌরসভার পক্ষ থেকেও টানানো হয়েছে বিজ্ঞাপনের জন্য বিশাল আকৃতির এসব বিলবোর্ড। এতে একদিকে শহরের সৌন্দর্য্য যেমন নষ্ট হচ্ছে অন্যদিকে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে কয়েকগুণে। সড়কে যাতায়াতকারীদের জন্য মরন ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে এসব বিলবোর্ড-ব্যানার। অথচ দেশজুড়ে ঝুঁকিপূর্ণ এসব বিলবোর্ড অপসারণের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না কেউই। রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চললেও মফস্বলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেখানে সেখানে ঝুলছে বিলবোর্ড, ব্যানর আর ফেস্টুন।
চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গার অন্যতম ব্যস্ততম সড়ক কোর্ট রোড থেকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন রোড ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে বড়বাজার পর্যন্ত সড়কের দু-পাশে ও মধ্যভাগে অসংখ্য বিলবোর্ড টানানো হয়েছে। রাজনৈতিক, কোচিং সেন্টার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যানারের পাশাপাশি ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছে বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির দানব আকৃতির বিজ্ঞাপন বোর্ড।
এসব বিলবোর্ড স্থাপন করায় পথচারিদের পড়তে হয় দুর্ঘটনার কবলে। কখনো দমকা বাতাস ঝড়ের কবলে পড়লে বিলবোর্ড উড়ে যায় এদিক সেদিক। আবার কয়েক জায়গায় বিদ্যুতের তারে বিলবোর্ড ঝুলতে দেখা যায়। বিলবোর্ডগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদ করার আহ্বান জানিয়েছে জনসাধারণ।
মেহেদি হাসান অন্তর নামে এক পথচারি বলেন, সেদিন বিকালে হাটছি আর বাতাসে একটা ব্যানার আমার গায়ে এসে আছড়ে পড়লো। ভাগ্যবশত তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তাই এসকল ব্যানার বিলবোর্ডগুলো অপসারণ করা দরকার। তা না হলে যখন তখন ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।
আরেক পথচারি সামসুল আলম বলেন, আমরা দেখি গাছে ও শহরের যেখানে সেখানে ব্যানার ফেস্টুন, বিলবোর্ড টানিয়ে রাখে। এতে চুয়াডাঙ্গার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আবার গাছের প্রাণ চলে যাচ্ছে। তাই অতি তাড়াতারি এগুলো অপসারণ করা দরকার। তা না হলে এসব বিলবোর্ড ব্যানার পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।
এ ব্যাপারে পরিবেশবাদী অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি বলেন, বিলবোর্ড, ফেস্টুন, ব্যানার যেখানে সেখানে টানিয়ে চুয়াডাঙ্গার পরিবেশ নষ্ট করছে। আর তাই পরিছন্ন চুয়াডাঙ্গা চাই, এই স্লোগানকে সামনে রেখে এই সব বিলবোর্ড উচ্ছেদ করার জন্য চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে দায়িত্ব নিতে হবে। প্রয়োজনে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এলইডি ব্যানারের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা যেতে পারে। তাছাড়া ব্যানার ফেস্টুনের জন্য নির্ধারিত স্থান থাকলে সেটার ব্যবহার করা যেতে পারে। তাহলে প্রাণ ফিরবে এই চুয়াডাঙ্গার।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের যেসব ফেস্টুন, ব্যানার, আছে এগুলো মাঝেমধ্যেই অপসারণ করা হয়। পৌরসভার বিলবোর্ডের একটা সময়সীমা আছে। সেই সময় পার হলেও অপসারণ করা হবে।