কার্পাসডাঙ্গা প্রতিবেদক:
যথাযোগ্য মর্যাদায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ৫টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে এ দু’দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান ও কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম।
এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহা পরিচালক হামিদুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কার্পাসডাঙ্গা নজরুল স্মৃতি সংসদ সভাপতি অধ্যাপক এমএ গফুর, কবি নজরুল স্মৃতি বিজড়িত আটচালা ঘরের মালিক প্রকৃতি বিশ্বাস, স্বাগত বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা। সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত অতিথিরা অভিন্ন ভাষায় বলেন, কাজী নজরুল ইসলাম এক তেজ ও আলোর নাম। তার আলোর ঝলকানি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ। বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীকে পথ দেখিয়েছে তার বিপ্লব, বিদ্রোহ, সংগ্রাম, প্রেম ও অনুভূতি। তিনি ছিলেন সংবেদনশীল, ছিলেন আপসহীন। তার সংবেদনশীলতা পরাধীনতার শেকল ভেঙে স্বাধীন সার্বভৌমত্বের পথ দেখিয়েছে আমাদের। কাজী নজরুলের মহান চিন্তার ফসল হলো মানবিকতা, সাম্য, সম্প্রীতি ও মৈত্রী। তার আগমন ধূমকেতুর মতো হলেও তার তিন হাজার গান, কাব্য, গল্প ও উপন্যাস আমাদের অমূল্য রত্নভান্ডার। আমাদের সাহস ও প্রেরণার নাম নজরুল।
এর আগে কার্পাসডাঙ্গায় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে কবির স্মৃতিবিজড়িত আটচালা ঘরের সামনে কবির স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর র্যালী, পুষ্পমাল্য অর্পন ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। পরে অতিথিরা কবির স্মৃতি বিজড়িত আটচালা ঘর, লিচু বাগান, পুকুরপাড় ঘুরে দেখেন। কবি কলকাতা থেকে ট্রেনে করে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা স্টেশনে নেমে দর্শনা থেকে ৬ কি.মি. দুরে কার্পাসডাঙ্গায় এসে এসব স্থানে বসতেন এবং সাহিত্য চর্চা করতেন। এখানে বসে তিনি লিচু চোর ও পদ্ম গোখরোর মত বিখ্যাত সাহিত্য রচনা করেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব কাজী নুরুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা নিবাহী অফিসার রোকসানা মিতা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, কার্পাসডাঙ্গা কবি নজরুল স্মৃতি সংঘের সভাপতি প্রফেসর আঃ গফুর ও কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, মেম্বর সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
৫.