জীবননগর অফিস:
শিক্ষিত জাতি চাইতে শিক্ষিত ও সুস্থ মা লাগবে, এজন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমাজে এখানো দেখা যাবে যে নানা সমস্যা রয়েছে নারীরা এখনও পিছিয়ে আছে, নারীদের এগিয়ে নিতে হবে। চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক এক আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুর ইসলাম একথা বলেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও লোকমোর্চার আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়াম রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জীবননগর উপজেলা লোকমোর্চা সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, নারীদের এগিয়ে নেওয়া প্রথা রয়েছেন, ইউনিয়ন পরিষদের তিন জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আছেন, উপজেলা পরিষদের একজন, জেলা পরিষদে ২জন, এমনকি সংসদে ৩০০টি নিয়মিত আসনের পরও ৫০টি সংরক্ষিত আসন রাখা হয়েছে যাতে নারীরা এগিয়ে যেতে পারে। শিক্ষা, চাকুরী, বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য থেকে শুরু করে এগিয়ে যেতে পারে এবং এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বাল্যবিবহের কারণে তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের পিছিয়ে আছে। এটা আমাদের নিরুৎসাহিত করতে হবে এবং নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান। এ ছাড়া তিনি ইমাম, কাজী, ঘটক ও জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্য দিকনির্দেশনা বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তিথি মিত্র, জেলা লোকমোর্চা সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, উপজেলা লোকমোর্চা সাধারণ সম্পাদক আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান, ইসলামি ফাউন্ডেশনের সুপার ভাইজার আব্দুল হাকিম, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম সুপার ভাইজার আব্দুস শুকুর, সিনিয়র সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ, সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন মোল্লা, আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শরিফুল ইসলাম মুক্তার প্রমূখ।
এছাড়াও উপজেলা ইমাম, ঘটক, কাজী, গণমাধ্যমকর্মী, লোকমোর্চার কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।