নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় এ সভায়।
সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান শুরুতেই জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের অনৈতিক কার্যক্রমের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রি অফিসের আওতাধীন সাব-রেজিস্ট্রাররা মডগেজ জমির দলিল করতে গিয়ে নানা ধরনের হয়রানির মুখে ফেলছে গ্রাহকদের। এ বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংক, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সাধারন মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া দুপুর ১টার পর জমি রেজিস্ট্রি করা হয় না, যা ঠিক নয়। সরকারি অফিসের এমন সময়সীমা বেঁধে দেয়া মোটেও উচিত নয়। একইসাথে মাথাভাঙ্গা নদী খননের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
ডিসি আমিনুল ইসলাম খান বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৭টি ইউনিয়ন পরিষদে সীমানা জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে জীবননগরের একটি ইউপিতে নির্বাচনের তফসীল ঘোষনা করা হবে অচিরেই। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় কর বিভাগ ও ভ্যাট কর্মকর্তারা উপস্থিত হন না। এটি মোটেই কাম্য নয়। এজন্য ওই দুই বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সভায় গত মাসের কার্যবিবরণী পাঠ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হামিদ রেজা। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আবু তারেক, পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা।