আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গার জোড়গাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনকে পিটিয়ে আহত করেছেন একই বিদ্যালয়ের দপ্তরি ইকতার হোসেন। হুকুম করায় রাগান্বিত হয়ে দপ্তরি ইকতার পিতলের ঘণ্টা দিয়ে ওই শিক্ষককে বেদম পেটান তিনি। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে স্কুলে স্টাফ মিটিং চলাকালীন সব শিক্ষকের সামনেই মারপিটের ঘটনা ঘটে। এতে অপমানিত শিক্ষক ফারুক হোসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী শিক্ষা অফিসারের কাছে এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মত সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন সকাল ৯ টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। সাড়ে ৯ টায় শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে স্টাফ মিটিং শুরু হয়। এ সময় সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন দপ্তরী ইকতারকে ল্যাপটপ নিয়ে আসতে বলেন। হুকুম করায় ইকতার রেগে যান। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ সময় মিটিংয়ে উপস্থিত সব শিক্ষককে অবাক করে দিয়ে দপ্তরি ইকতার হোসেন পিতলের ঘন্টা দিয়ে সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেনকে পেটাতে থাকেন। শিক্ষকরা পিতলের ঘন্টা কেড়ে নিলে ইকতার ঘন্টা বাজানো কাঠের হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন। এ ঘটনায় ফারুক হোসেন স্তম্ভিত হয়ে যান। জোড়গাছা গ্রামের স্থানীয় দপ্তরী ইকতারকে কিছু বলার সাহস দেখাননি বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ ঘটনায় তীব্র অপমানিত সহকারী শিক্ষক ফারুক হোসেন এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।
জোড়গাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তার ৩০ কেজি ওজনের একটি ছাগল অসুস্থ হয়ে পড়ায় জবাই করা হয়েছে। এই নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তিনি বিবাদমান দুই পক্ষকে এক জায়গায় বসিয়ে মিটমাট করে দেওয়ার সময় পাননি। তবে দুই একদিনের মধ্যেই তিনি মিমাংসা করে দেবেন বলে জানান। সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামীম হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মারপিটের ঘটনা শুনেছি। বৃহস্পতিবার স্কুল খুললে বিস্তারিত জেনে জানানো যাবে।