আকাশ খবর ডেস্ক:
চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা’র স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সাথে পালন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। দেশে ফিরে জনগণের ভালোবাসা নিয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। সেই পথচলা মসৃণ ছিল না। তিনি দেশে ফিরে এসে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন করেছেন, তার সবকিছুই আপনাদের সামনে দৃশ্যমান। শেখ হাসিনা যদি না আসতেন, তাহলে আজকে যে পদ্মা সেতু আমরা দেখছি, সেটি কোন শাসকের চিন্তাই আসতো না। তিনি না আসলে কর্ণফুলী টানেল, পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, সারাদেশে ছয়লেন, চারলেন রাস্তাসহ যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং আরো হচ্ছে-এসবের কিছুই হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গেছি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাড. আবু তালেব বিশ্বাস, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. তালিম হোসেন, সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শওকত আলী বিশ্বাস, সাবেক কার্য নির্বাহী সদস্য এ্যাড. বেলাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদেরসহ পৌর সকল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদি মিলি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা নুরুন্নাহার কাকলী, জাতীয় মহিলা সংস্থা চুয়াডাঙ্গার সভাপতি নাবিলা রুকসানা ছন্দা, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া সাহাব, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আফজালুল হক বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোহাইমেন হাসান জোয়ার্দ্দার অনিক, সাবেক সহ-সভাপতি সাহাবুল ইসলাম, সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ফিরোজ জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানিম হাসান তারেক, ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ, সোয়েব রিগান, সোহেল, টোকন জোয়ার্দ্দার, আকাশ, মুন্না, রিয়ন ও মিঠুনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অপর দিকে, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য র্যালি করেছে জেলা যুবলীগ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা যুবলীগের আয়োজনে এ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বুধবার বিকেলে ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ’ শ্লোগানে র্যালিটি শহরের টাউন ফুটবল মাঠ থেকে বের হয়। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের তথ্য সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুনসহ অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য র্যালিতে অংশ নেয় জেলা যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের সহস্রাধিক নেতাকর্মী। চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে র্যালিটি শহীদ হাসান চত্বর ঘুরে কোর্টমোড় ও কবরী রোড হয়ে যুবলীগের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ওই সময়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। ভারতে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে তার অবর্তমানেই দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ‘বাঙালির আশা ও অনুপ্রেরণার উৎস মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে আজকের এইদিনে মৃত্যুর হুমকি নিয়ে এ দেশের মাটিতে পা রাখেন। এরপর থেকে গত চার দশকেরও বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব সফলতার সহিত দিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। যার ফলে আজকে সারাদেশের চিত্রে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন চোখে পড়ে। একইসাথে আমাদের দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে ও স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে। আগামী নির্বাচনে পুনরায় শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য কামনা করেন তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি শেখ সামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মাইনুল হাসান খান নিখিলের সুস্বাস্থ্য কামনা করেন নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। র্যালি ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুল ইসলাম, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বকর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা, যুবলীগ নেতা শেখ শাহী, মাসুদুর রহমান মাসুম, পলেন, আল ইমরান শুভ, রামিম হাসান সৈকত, খালিদ, সুইট, রাসেল, আসাদ, রানা, আনোয়ার, সৌরভ, তামিম, দিপু, লোকমান, খানজাহান, আজিম, মিঠুন। পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের বনফুল, জান্টু, বিপ্লব, সুমন, কুতুবপুর ইউনিয়নের মাসুম, রফিকুল, রিংকু, আমজাদ, গড়াইটুপি ইউনিয়নের পলাশ, মোমিনপুর ইউনিয়নের মোমিন, ছোট, নেহালপুর ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর, এনামুল, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের আবুল কালাম আজাদ, সেলিম, মাহফুজুর রহমান, মোমিন, জিসান, জাকির, আলোকদিয়া ইউনিয়নের আবুবক্কর, আলমডাঙ্গা উপজেলার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন সোনাহার মন্ডল, সদস্য বুলবুল, আলমডাঙ্গা পৌর যুবলীগের ডিটু, জাহিদুল ইসলাম, গাংনী ইউনিয়নের বজলু, সাইদ, শিহাব, সহিদ, জিনারুল, কামাল, জাফর, ইমদাদুল, মনিরুল, রনি, ওহিমউদ্দিন, বাদশা, চিৎলা ইউনিয়নের রবিউল, জেহালা ইউনিয়নের মোখলেসুর রহমান শিলন, বকুল, কুতুব, আলমগীর, খাদিমপুর ইউনিয়নের কামাল, পটু মাস্টার, আনারুল, সাগর, আনন্দ, আশা, নাগদাহ ইউনিয়নের আবুল হাসনাত, আইলহাস ইউনিয়নের আব্দুল কুদ্দুস মালিথা, রাসেল, বিপ্লব, জামজামি ইউনিয়নের রতন। এছাড়াও চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের অন্তর্গত বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা কর্মসুচিতে অংশ নেন।