নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুযাডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগী দেখানোকে কেন্দ্র করে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এতে রোগী স্বজনদের তোপের মুখে পড়েছেন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াদেহ মাহমুদ রবিন। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে। পরে উভয়ের সম্মতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নতুন ভবনের ২০০১ নং রুমে রোগী দেখেন মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন। গতকাল সকালে তারে কাছে চিকিৎসা করাতে যান এক রোগী। ওই রোগীর সিরিয়াল না দেয়ায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন রোগীর স্বজন। এসময় চিকিৎসকের সহকারী আকাশকে মারতে উদ্যত হন স্বজনরা। পরে সেখানে রোগীর স্বজনদের সাথে উপস্থিত হন আরও কয়েকজন যুবক। তারা একসঙ্গে চিকিৎসকের কক্ষে প্রবেশ করে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় থানা পুলিশের সদস্যরা, সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান ও আরএমও ডা. ফাতেহ আকরাম। পরে পুলিশ প্রোটেকশনের মাধ্যমে ডা. রবিনকে বাড়িতে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, সহকারি আকাশকে বিনা কারণে মারধর করা হয়। প্রতিবাদ করলে আরও কয়েকজন যুবক চেম্বারে এসে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা চালায়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, হট্টগোল সৃষ্টিকারী যুবকরা চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. জানিফের অনুসারী। এ ব্যাপারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জানিফের কাছে জানতে চাইলে তাকে মোবাইলফোনে পাওয়া যায়নি।