নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় দিনভর ভ্যাপসা গরম অস্বস্তি বাড়াচ্ছিলো জনজীবনে। সকাল থেকেই রোদের তীব্রতা ছিল বেশ প্রখর। দিনভর গরমের তীব্রতা থাকলেও বিকেলে কালো মেঘে ঢেকে যায় চুয়াডাঙ্গার আকাশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া। দমকা বাতাসে আছড়ে পড়ে কালবৈশাখী ঝড়। বাতাসের তোড়ে ধুলোয় অন্ধকার হয়ে যায় চারপাশ। ঝোড়ো বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। থেমে থেমে বৃষ্টি চলে আধা ঘণ্টার বেশী। ঝড় আর বৃষ্টিতে জীবনে নেমে আসে স্বস্তি। ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যদিও আগে থেকে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ বুধবারসহ আগামী দু-তিন দিন বৃষ্টি ও কালবৈশাখী চলতে পারে। হঠাৎ বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় বজ্রপাতের পরিমাণও বাড়তে পারে। বিকেলের পর থেকে এ ধরনের আবহাওয়া দেখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে আকাশে মেঘের আনাগোনা বাড়তে পারে।
জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে বাংলাদেশের আকাশ থেকে সব মেঘ বঙ্গোপসাগরে চলে যায়। এতে দেশে তাপপ্রবাহ বেড়ে গিয়েছিল। তাই এ সময় যে ঝড়-বৃষ্টি হয়, তা কমে আসে। এখন দেশের আকাশে মেঘ আসা বেড়ে গেছে। আর দিনে তাপমাত্রা বেশি থাকছে। এ ধরনের আবহাওয়ায় কালবৈশাখী বাড়ছে। আগামী কয়েক দিন তা আরও বাড়বে।
এদিকে দেশের কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়েছে। গত সোমবারের তুলনায় গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গা, নওগাঁ, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া ও যশোরে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে।
আজ দেশের বিভিন্ন স্থানে মেঘ-বৃষ্টি বেড়ে যাওয়ায় সামগ্রিকভাবে তাপমাত্রা কমে আসবে। আর তাপপ্রবাহের দাপটও এতে কমবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।