নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে টানা তিন দিন প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে চলেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সারা দেশের মধ্যে যা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। বাতাসের আর্দ্রতা ৪০ শতাংশ।
এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় টানা পাঁচ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলো। জেলার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, ২ থেকে ১৬ এপ্রিল টানা ১৫ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গায়। এ সময় মৃদু, মাঝারি ও প্রচণ্ড দাবদাহ বয়ে যায় জেলার ওপর দিয়ে। ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড তাপমাত্রায় জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকে বাড়ি থেকে বের হওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। হাটবাজার ও সড়কে খাঁ খাঁ অবস্থা। তবে খেটে খাওয়া মানুষেরা বিপাকে পড়েছেন।
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গরমজনিত রোগবালাই বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিন শতাধিক রোগী। এ ছাড়া বহির্বিভাগে অন্তত এক হাজার রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন।
হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানে ৩১ জন রোগী ভর্তি আছেন, যার মধ্যে ১৭ জনই শিশু। হাসপাতালের শিশু বিভাগের পরামর্শক আসাদুর রহমান অভিভাবকদের শিশুদের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া শিশুদের বাইরে বের হতে দেওয়া যাবে না। শরীর যাতে না ঘামে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার খেতে দিতে হবে।