নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাগরে ঘূর্ণিঝড় মোকার শঙ্কায় ফসলের ক্ষতি এড়াতে পাকা ধান, আম ও অন্যান্য ফসল দ্রুত সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ভূঁইয়া এ কথা জানান।
তিনি বলেন, হাওরে শতভাগ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। আর সারাদেশে ৬০ ভাগ বোরো ধান কাটা শেষ হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা তৈরি হওয়ায় সতর্কতামূলক পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। ফসলের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালকদের মাধ্যমে কিছু নির্দেশনা এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে পাঠিয়েছে সরেজমিন উইং।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তৃতীয় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি আজ বুধবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে এবং পরবর্তী সময়ে দিক পরিবর্তন করে ক্রমান্বয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এতে আরও বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে৷ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল এবং মিয়ানমারের উত্তর উপকূল দিয়ে তা অতিক্রম করতে পারে আগামী ১৪ মে রোববার বিকেল বা সন্ধ্যা নাগাদ। রোববার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র বাংলাদেশ অংশে আঘাত হানতে পারে। এর অগ্রবর্তী অংশ আরও ১২ ঘণ্টা আগেই স্পর্শ করবে।