হাসপাতাল প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার কোষাঘাটা গ্রামে সাপের কামড়ে জনি হোসেন (২৫) নামে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোষাঘাটার গ্রামের স্কুলপাড়ার মাথাভাঙ্গা নদীর পাড় থেকে একটি বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। এতে আহত হলে তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে। হাসপাতালে নিলে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে চিকিৎসক। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা তাকে নিয়ে যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর কলেজ পাড়ার ওঝা রায়হান সাপুড়ের কাছে। সেখানে শরীরিক অবস্থা আরও অবনতি হতে থাকে। প্রায় দু ঘণ্টায় ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েন জনি। আবারও তাকে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিলে রাত ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
জানা গেছে, কোষাঘাটা গ্রামের আজিজের ছেলে জনি হোসেন মাথাভাঙ্গা নদীর ধার দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় তার ডান পায়ে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়। সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতলে নিলে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক জোবাইদা জামান জয়া।
কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ উপেক্ষা করেই জনি হোসেনকে নেয়া হয় ওঝা রায়হান সাপুড়ের কাছে। সেখানে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে ঝাঁড়ফুক দিতে থাকে ওঝা। চলে বিষ নামানোর নাটক! কিন্তু দীর্ঘ এ সময়ে জনির শারীরিক অবস্থা আরও দুর্বল হতে থাকে। একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে সে। তখন আবারও নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। রাত ১২টার দিকে হাসপাতালে নেয়ার পর জনিকে মৃত ঘোষনা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানুর রহমান।
মৃত জনির স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বলেন, হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার রাজশাহী নিতে বলেন। কিন্তু আমরা ওঝার কাছে নিয়ে যায়। ওঝার কাছে নিয়ে গিয়েই স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল থেকে ইনজেকশন দেয়ার পরও মারা গেছেন।