জীবননগর অফিস:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সদ্য অনুষ্ঠিত বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে পরবর্তী সহিংসতায় আহত হয়েছেন চারজন। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বাঁকা ইউনিয়নের সুটিয়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গোটা গ্রাম। এদিকে ওই গ্রামের ফয়েজদ্দীন বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন, সুটিয়া গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে সোহাগ (৩৫), জাহিদুল ইসলামের ছেলে পানতা (২৫), মহিউদ্দিনের ছেলে বরকত (৩৫), মহি মল্লিক (৬৫), ইউসুফ আলীল ছেলে আবুল কাশেম (৩৭), ইউসুফের ছেলে লতিফ (৪০), আজেহার আলীর ছেলে শফি (৫০) ও মৃত বারী মন্ডলের ছেলে উসমান গনি (৫৮)। এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, আব্দুল অহেদের ছেলে হোসেন আলী, মনির উদ্দিনের ছেলে মহীউদ্দীন মল্লিক ও নুর ইসলামের ছেলে আব্দুর রশিদ।
গ্রামবাসী ও আহত ব্যক্তিরা জানান, গত বৃহস্পতিবার বাঁকা ইউনিয়নের সুটিয়ায় ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমানের কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে না ঢুকতে দেওয়াকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সুটিয়া গ্রামের মৃত ইসলাম মন্ডলের ছেলে আওয়ামীলীগ নেতা হারুনুর রশীদ, ওমেদুল ইসলাম, ফয়েজ উদ্দিন, রহমান মেম্বার, গোলাম খন্দকারের ছেলে ইসমাইল ও তার ছেলে আকাশের নেতৃত্বে হাসাদাহের নব নির্বাচিত ইউপি সদস্য জুম্মাত আলীর ২০জন সমর্থক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সোহাগ, পান্তা, মহি মল্লিক, জাহিদুলসহ আরো কয়েকজনের উপর পুলিশের উপস্থিতিতে হামলা করে।
এসময় জামাত-বিএনপির কর্মী সমর্থকদের বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করা হয়। একইসাথে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী ও বাঁকা ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মফিজুরের বাড়ি ভাংচুরে করে তার বাড়ি থেকে সাড়ে ৭ ভরি স্বর্নালংকার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ইউনুচ আলীর বাড়ি থেকে ১ ভরি স্বর্ণের চেইন ও নগদ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে।
পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয় পরিস্থিতি। ঘটনার অজ্ঞাত আসামি করায় গ্রামে বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ গ্রেপ্তার আতঙ্কে গ্রাম ছাড়া হয়েছেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।