নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা ডি.এস ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অফিস সহকারী আহসান মাহমুদ মামুনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে জাল সার্টিফিকেট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ ধরনের অপকর্মের সাথে যুক্ত বলেও অভিযোগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে এই অফিস সহকারী আহসান মাহমুদ (মামুন) গোপনে কৌশলে তার এই অবৈধ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সবশেষ গত ফেব্রুয়ারি মাসে দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়া গ্রামের শাহনাজ খাতুন নামে একজনের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন মাদরাসার অফিস সহকারী আহসান মাহমুদ (মামুন)। অথচ ওই নারী দর্শনা ডি.এস ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় কোনদিন লেখা-পড়া করেননি। কিন্তু টাকার বিনিময়ে পেয়ে গেছেন ৮ম শ্রেণী পাসের সার্টিফিকেট।
এছাড়াও দাখিল, আলিম, ফাজিল পাসের সার্টিফিকেট নিতে গেলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে ২শ থেকে ৫শ টাকা পর্যন্ত আদায় করেন তিনি। যা অফিসের কোন ফান্ডে জমা হয় না বরং বেহিসাবিভাবে তার নিজ পকেটে জমা হয়। যা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের অজানা। এসব কিছুর হিসাব চাইলে উল্টা-পাল্টা বুঝিয়ে কোন রকমে সময় পার করে আসছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে এই অফিস সহকারী আহসান মাহমুদ মামুনের বিরুদ্ধে। সঠিক তদন্ত করলে তার বিরুদ্ধে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান সচেতন মহল।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত অফিস সহকারী আহসান মাহমুদ মামুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘টাকার বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেট দেয়ার বিষয়টি সঠিক না। তবে ভুল করে এমন দু একটি ঘটনা ঘটতে পারে। বিষয়টি কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করে দেখবো।’
আর মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা শফি উদ্দীন মোল্লা বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি। আমার যোগদানের পর এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে আগে এসব হয়ে থাকতে পারে। আমি অফিস সহকারীকে এ ব্যাপারে হুশিয়ার করেছি। আর এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’