হিজলগাড়ী প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নে দোস্তের চিত্রা নদীর ওপর কোনো সংযোগ সেতু না থাকায় এই বাঁশের সাঁকো যেনো এখন মরণ ফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিন গ্রামের মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মাত্র ১৩০ ফুট সেতুর জন্য। যাতায়াতের দুর্ভোগ লাঘবে গ্রামবাসীর নিজস্ব অর্থায়নে চিত্রা নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করলেও সেটা বর্তমানে জরাজীর্ণ ও ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কিছুদিন পর পর স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকোটি সংস্কার করলেও সপ্তাহ না যেতেই পুনরায় নড়বড়ে হয়ে পড়ে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন এ সাঁকো দিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত, সুবোদপুর, বোয়ালমারীর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি-বেসরকারি চাকুরীজীবী, ব্যবসায়ীসহ প্রায় তিন হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের ইউনুচ আলীর বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদী। নদীর ওপারেই দোস্ত গ্রামের মানুষজনের জমি-জমাসহ আরও দুইটি গ্রাম। এই তিন গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সম্বল চিত্রা নদীতে কোনো স্থায়ী ব্রিজ না থাকায় গ্রামবাসী নিজেদের অর্থ দিয়ে অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াতসহ কৃষি পণ্য আনা নেওয়া করে। বর্তমানে বাঁশের সাঁকো ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় তিন গ্রামের মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
দোস্ত গ্রামের সমাজসেবক হাবিবুর রহমান কাজল বলেন, চিত্রা নদীতে একটি সেতুর অভাবে তিন গ্রামের মানুষকে তিন কিলোমিটার পথ ঘুরতে হতো। যার ফলে গ্রামবাসী প্রায় দুই লাখ টাকা খরচ করে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে। যা প্রতিবছরই মেরামত করতে হয়। গ্রামের কৃষকদের প্রায় দুই হাজার বিঘা জমির চাষাবাদ আছে চিত্রা নদীর ওপারে। কৃষকদের উৎপাদিত ফসল জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজেদের তৈরি বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে মাথায় করে আনতে হয়। এতে করে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যায়। তা ছাড়া মাথায় করে ভারি বোঝা আনতে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয় তাদের।
গ্রামবাসীর দুর্ভোগের কথা শুনে সরেজমিনে দোস্ত গ্রামে এসে চিত্রা নদীর ওপর সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান গরীব রুহানি মাছুম। তিনি বলেন, এখানে ১৩০ ফুট লম্বা ব্রিজ লাগবে আমার আপ্রাণচেষ্টা থাকবে যতদ্রুত সম্ভব সেতুটি বাস্তবায়ন করা। এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে চিত্রা নদীর ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন।